বাসস
  ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪

কুমিল্লায় কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বেকারত্ব দূর হচ্ছে

॥ কামাল  আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলার প্রাচীন শিক্ষানগরী কোটবাড়ি।  চৌদ্দ শ’ বছর আগে এখানে গড়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। যার অন্যতম শালবন বৌদ্ধ বিহার। কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ পশ্চিমে কোটবাড়ি অবস্থিত। এখানে এখনো ডজন খানেকের বেশি নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ও কুমিল্লা পলিটেক ইনস্টিটিউট। এখানে কর্মমুখী শিক্ষার নতুন আয়োজন রয়েছে কোটবাড়ি ময়নামতি জাদুঘরের পশ্চিমে চৌধুরী এস্টেট এলাকায়। সিসিএন শিক্ষা পরিবার কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে। সেখানে রয়েছে সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন মডেল কলেজ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স।
শালবন বৌদ্ধ বিহারের মসজিদের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে সড়কের এঁকেবেঁকে প্রবেশ করেছে পাহাড়ের দিকে। পাশে শালবন সুন্দরের পসরা বসিয়েছে। পথে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যান। উদ্যানের পরে রাস্তার দুই পাশে টিলা। টিলার গায়ে কচুর ছড়া আর সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক। সামনে এগুলো সবুজে মোড়ানো ক্যাম্পাস। লালমাই পাহাড় আর সমতলের ৩৫ একর ভূমিতে সিসিএন শিক্ষা পরিবার। চারদিকে সবুজের উৎসব। কানে এসে লাগে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। বাতাসে বুনো ফুলের ঘ্রাণ আর সবুজের সমারোহ। এক ক্যাম্পাসেই সব প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের কক্ষে কর্মমুখী শিক্ষার নানা উপকরণ।
বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটি নগরীর রামঘাটলায় ২৯ জন শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু হয়। ২০১৫ সালে এ অঞ্চলে প্রথম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। এছাড়া ২০১৮ সাল থেকে এসইআইপি প্রজেক্টের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হচ্ছে। পলিটেকনিক থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে। তাদের ৯৬ ভাগ কাজে যোগ দিয়েছে। তারা কর্মরত রয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল প্রজেক্টে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, দেশের বাইরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আবরসহ বিভিন্ন দেশে।
সিসিএন শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপ্তানরিত করতে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চালু করি। প্রথমে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। মানুষ এ শিক্ষা নিয়ে সচেতন ছিল না। শিক্ষার্থী পাওয়া যেত না। অনেকে মনে করতেন কম মেধাবীরাই এখানে পড়তে আসে। সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে তরুণদের বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এখন আমাদের প্রতিষ্ঠানে ৫৪ জেলার শিক্ষার্থীরা পড়ছে। এটা দেখে ভালো লাগে যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের শিক্ষার্থীরা মাথা উঁচু করে কাজ করছে।