বাসস
  ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৭

মিধিলি মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩৫০০ স্বেচ্ছাসেবক

লক্ষ্মীপুর, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বইছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে ১৮৯টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও ৬৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ৪৫০জন ও সিপিপি ৩২৮০জন স্বেচ্ছাসেবক।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, উপকূলের বাসিন্দাদের জানমালের ক্ষতি এড়ানোসহ সম্ভাব্য এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম কিছু প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
জানমালের ক্ষতি এড়াতে ১৮৯টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তা ছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৭০ টন চাল ও নগদ ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। উপকূলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে গঠন করা হয়েছে ৬৪টি মেডিকেল টিম।
সভায় আরও জানানো হয়, উপজেলার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলের মানুষদের সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
জেলার রামগতি, কমলনগর, সদর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা নদীর উপকূলবর্তী এলাকা। এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নি¤œচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি' এ পরিণত হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।