শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবার স্মার্ট বাংলাদেশের নতুন স্বপ্ন দেখছি। অথচ ১৪ বছর আগে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল তখন সবাই ঠাট্টা করেছিল, কিন্তু আজ এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
আজ রোববার প্রতিমন্ত্রী অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব গ্রহণের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। এসময় দেশের উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসায় সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার, ইনফ্লুয়েন্সার, নারী, প্রতিবন্ধী ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে অংশীজনগণ নিজ নিজ ক্ষেত্রে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশ হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ। সেজন্য সকল অংশীজনের কার্যকর অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি অংশীজনদের বিশ্বাস করতে হবে যে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব।
২০১০ সালের ৩রা আগস্ট প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সভা থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা গ্রহণের টাইমলাইন ও তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত রূপরেখা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের আওতায় কেউ বাদ যাবে না। মাদ্রাসার ছাত্র বা সুদূর পাহাড়ে থাকা কেউই পিছিয়ে থাকবে না।
স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশের ডিজিটাল দক্ষতা, ৬০ শতাংশের ওপর স্মার্ট ডিভাইস ও ৩০ শতাংশের ওপর সেবা গ্রহণে স্মার্ট আইডির বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে এগ্রোটেক, ফিনটেক, হেলথটেক, স্মার্ট গ্রিড, এডুটেক প্রাধান্য পাবে। এসময় প্রযুক্তির মানবিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বেসিস পরিচালক আহমেদুল হক বাবু, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার, টিএমজিবি সভাপতি মো. কাউছার উদ্দীনসহ আইসিটি বিভাগ, এটুআই, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।