শিরোনাম
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের নতুন জাত ‘ব্রি ধান-১০৩’ এর ফসল কর্তন উৎসব ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আরজ আলী খন্দকারের জমিতে উৎপাদিত ব্রি ধান-১০৩ কেটে ফসল কর্তন উৎসব করা হয়।
এ উপলেক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্রি’র পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ।
ব্রি’র গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে ব্রি’র সাইন্টিফিক অফিসার সৃজন চন্দ্র দাস, মো. খালিদ হাসান তারেক, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগী, কৃষক আরজ আলী খন্দকারসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ব্রি’র পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ধানের দানা লম্বা ও চিকন। ১ হাজার টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩ দশমিক ৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ যথাক্রমে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২৪ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে এ জাতটির গড় ফলন ৬ দশমিক ২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ৯৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের গড় জীবনকাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। গতবছর এ ধানের জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এ বছর কৃষকের মাঠে আমন সৌসুমে এ ধান সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে। এ ধান চাষাবাদ করে কৃষক ১ ফসলী জমিকে ২ ফসলী, ও ২ ফসলী জমিকে ৩ ফসলী জমিতে পরিনত করতে পারেন। ফসলের নিবীড়তা বৃদ্ধি করে কৃষক লাভবান হবেন। গোপালগঞ্জে এ জাতের ধান হেক্টরে ৬ টনের ওপরে ফলন দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। কৃষক সমাবেশে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার শতাধিক কৃষক এবং কৃষাণী অংশ নেন।