বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৯
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২২

সরকার কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী 

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি রচিত হয়েছিল, সেটিকে অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 
তিনি বলেন, ‘কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে ‘রূপকল্প-২০৪১’-এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ 
প্রধানমন্ত্রী  আগামীকাল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’ যা বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।  
তিনি বলেন, প্রাণের সূচনা হয়েছে মাটি ও পানি থেকে। আবার সকল প্রাণিরই বেঁচে থাকার অবলম্বন এই মাটি ও পানি। পৃথিবী নামক এ গ্রহকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার শাশ্বত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর চাষাবাদ হয়েছে মাটির নিজস্ব উর্বরা শক্তিতে। তখন প্রয়োজন ছিল না বাড়তি কোন সার ও কীটনাশকের। মাটিতে বিদ্যমান অনুজীব, মাটি ও পানির সমন্বিত মিথস্ক্রিয়ায় মাটি থাকত উর্বর। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে।  এছাড়াও  ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও শিল্পায়নের কারণে প্রতিনিয়ত মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে খাদ্য, মাছ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। কৃষির উন্নয়নে এ সাফল্য সারাবিশ্বে বহুলভাবে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ। রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।
এর ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্যসম্পদ আহরণ এবং সারাদেশে দ্রুত বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষি ও কৃষকের জীবনমান আরো উন্নত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে জীবনের জন্য মাটি ও পানি অপরিহার্য। মাটি ও পানির গুণগতমান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখে সকলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।’ প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২৩’ উদযাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।