শিরোনাম
কুষ্টিয়া, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় এ বছর আমন ধানে ভরে উঠেছে কৃষকের ধানের গোলা। অগ্রহায়ণের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। কৃষাণীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নতুন ধানের পিঠা-পুলি উৎসবে। এবছর ধানের ফলন ভাল হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে চলতি মৌসুমে ৮৮ হাজার ৯১৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছিল। যা থেকে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫৫১ টন চাল উৎপাদন হবে।
তবে সার, কীটনাশক ও তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন হচ্ছে বিঘাপ্রতি ১৭ থেকে ২০ মণ। কোন ক্ষেত্রে আরো বেশি। কৃষকরা খুশি হলেও ধানের দাম বৃদ্ধির দাবি কৃষক জিনারুল ইসলামসহ এলাকার সকল কৃষকদের।
নতুন ধানের মৌ-মৌ গন্ধে কৃষকের গোলা ভরে উঠেছে। কৃষাণীরা ব্যস্ত এখন নবান্ন উৎসবে। আয়োজন করা হচ্ছে নানা রকম পিঠা-পুলি। পিঠা-পুলির ঘ্রাণে শিশু-কিশোরও আনন্দে উচ্ছ্বসিত।
কৃষকদের মধ্যে ধানের উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদান করায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ।
কৃষকরাই এদেশের প্রাণ। তাইতো কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হলে কৃষির উৎপাদন বাড়বে এমনটাই মনে করেন সকলে।