শিরোনাম
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জে শুরু হবে বিজয় দিবস উদযাপনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। দিবসটি উদযাপনের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশর মহান স্থপতি জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করবে জেলা প্রশাসন। এরপর জেলা পুলিশ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগি সংগঠন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাজিক, সাংস্কৃতিক, শ্রমজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
পরে পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও দোয়া মোনাজাত করা হবে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনায়। প্রার্থনা করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য।
দিবসের সূচনালগ্নে সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে শহরের শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হবে।
বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ‘একাত্তরের বধ্যভূমি জয়বাংলা’ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা প্রদান করা হবে।
দুপুরে হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, শিশু নিবাস ও শিশু কেন্দ্র সমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
বাদ যোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে জেলার মসজিদ এবং সুবিধামতো সময়ে জেলার মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এ দিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেখ ফজলুল হক মনি অডিটোরিয়ামে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
সন্ধ্যা ৬টায় শেখ ফজলুল হক মনি অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ মাটিতেই জন্মগ্রহন করেছেন। তাই এখানে বিজয় দিবস আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। সে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গর্বিত এ জেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।