বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১১
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২৬

বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটে নিশ্ছিদ্র  নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইজিপির নির্দেশ

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আইজিপি আজ রোববার সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন।
র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম. পিবিআই’র অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার প্রমুখ এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি খ্রিস্টান কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের ন্যায় এবারও বড়দিন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান। 
তিনি বলেন, কেউ নাশকতার ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আপনারা তাকে ধরে ফেলবেন। আর ধরতে না পারলে চিনে রাখবেন, পুলিশ তাদের আটক করবে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগেরও অনুরোধ জানান তিনি।
থার্টিফার্স্ট সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ।
আইজিপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং ও প্যাট্রোলিং বৃদ্ধি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট এবং খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে পটকা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আইজিপি।