বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৫

বিএনপি নেতা ফখরুল-খসরুকে জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : নাশতকার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুই দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি শুনানি  শেষে এ আদেশ দেন। এদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের  আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এসময় তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুন করে দু’দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা তাদের গ্রেফতারের আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন ।
এদিকে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।
এরআগে, গত ২৯ অক্টোবর এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর গত ২ নভেম্বর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
আবেদনের পর জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করে। এরপর আদালত জামিন শুনানি পিছিয়ে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জজকোর্ট ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর উভয় আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ৭ ডিসেম্বর রুল দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরেক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা  থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর ৩ নভেম্বর আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক  মো. তরীকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।