বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৫১

গাজীপুরের ৫টি আসনে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা ॥ গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা

॥ আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ॥
গাজীপুর, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জেলার নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও তাদের মার্কা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাই এগিয়ে রয়েছে।
গাজীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রতিদিন উঠান বৈঠক, নির্বাচনি সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করছেন। এছাড়াও এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম রাসেল। এই আসনের ভোটাররা জানান, নৌকার প্রার্থী মোজাম্মেল হকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এই আসনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ভোটারদের মধ্যে তাকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। আশা করছি এবারও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি গাজীপুরের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। টানা চারবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের নিয়ে উঠান বৈঠক, নির্বাচনি সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন তিনিও। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে এলাকাবাসির কাছে ভোট চাইছেন। এই আসনে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তারাও প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করছেন।
এই আসনের ভোটাররা জানান, জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল একজন তরুণ নেতা। বাবার মতো এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি গাজীপুর-২ আসনে স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। আশা করছি এবারও তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীর মেয়ে অধ্যাপক রুমানা আলী টুসী। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এবার মনোনয়ন পাননি। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, ‘এই আসনের মানুষের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আমি আশা করছি, এবারও গাজীপুর-৪ আসনের ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।’
এই আসনে সিমিন হোসেন রিমির প্রতিদ্বন্দ্বী তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে কৃষক লীগ নেতা আলম আহমেদ। তিনিও নির্বাচনি মাঠে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাজীপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. আখতারউজ্জামান। তিনিও নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।