বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২

বেড়া-সাঁথিয়ার জনগণের সিদ্ধান্তের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে : শামছুল হক টুকু

বেড়া, পাবনা, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শামছুল হক টুকু সাংবাদিকদের বলেছেন, বেড়া-সাঁথিয়ার জনগণের সিদ্ধান্তের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে আসছি, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জনগণের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। 
আজ বুধবার পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখায় দ্বাদশ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিজ এলাকায় অব্যাহত রাখতে চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। জনগণ নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিষয়ে বলেছেন, জনগণের অংশগ্রহণই হলো অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন। সেই বিবেচনায় পাবনা-১ নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুবই সুসংগঠিত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। সেই সংবিধান অনুযায়ী জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। আমরা শুধু নিজে ভোট নেয়ার জন্য না, আমরা জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করছি আপনি এই দেশের মালিক। অতএব নাগরিক দায়িত্ব পালন করা আপনার কর্তব্য, ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া আপনার নৈতিক দায়িত্ব। দেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য ভোট কেন্দ্রে যাবেন। 
বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে শুধু নয় তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন-এমনটি উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্বের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যেখানেই মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে সেখানেই তিনি মানবতার পক্ষে কথা বলেছেন। 
তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দল থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের অন্যতম একজন। দল থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি ২০১৪ সাল থেকেই স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। তিনি অভিযোগকারী হিসেবে অভ্যস্থ, তিনি যখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তখনই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবেন, মামলা করবেন এটাই তার অভ্যাস।