শিরোনাম
জয়পুরহাট, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): আগামী ৭ জানয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে জয়পুরহাট ১ ও ২ আসনে ১৫ জন পদপ্রার্থী শেষ সময়ের প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ১ আসনের জন্য ৭ জন ও ২ আসনের জন্য ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী জানান, জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসন গঠিত। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিীত করছেন ৭ জন প্রার্থী। জয়পুরহাট-১ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সামসুল আলম দুদু (নৌকা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: রুকুনুজ্জামান (আম), জাতীয় পার্টির একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন (লাঙ্গল), তৃণমুল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো: মাসুম (সোনালী আঁশ ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু ( ট্রাক), আব্দুল আজিজ মোল্লা (কাঁচি) এবং জহুরুল ইসলাম (ঈগল)। জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। এখানে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। জয়পুরহাট-২ আসনের ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ( নৌকা ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু সাঈদ (আম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আবুল খায়ের মো: সাখাওয়াত হোসেন (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো: নয়ন (ডাব) , জাতীয় পার্টির আবু সাঈদ নুরুল্লাহ (লাঙ্গল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক সরদার (ঈগল), আতোয়ার রহমান (ট্রাক) ও গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর (কাঁচি) । তপসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়াির’ ২০২৪। প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাচ্ছেন কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও জয়পুরহাট-১ ও ২ আসনের জন্য দুটি পৃথক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি কাজ করছে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সহযোগিতায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযাগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। অপরদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃংখলা রক্ষায় মাঠে পর্যায়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে এবং সাদা পোশাকে ডিএসবির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাবের ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে বলেও জানান তিনি।