বাসস
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯
আপডেট  : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১২  

চট্টগ্রাম, ৮ জানুয়ারি ২০২৪ (বাসস) : গতকাল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভোট বানচালের উদ্দেশ্যে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে দরজা-জানালা ভাঙচুর, রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টির ঘটনায় মামলা হয়েছে।  
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সুনির্দিষ্ট ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২ থেকে ৩ শ’ জনকে আসামি করে নগরীর চান্দগাঁও থানায় আজ এ মামলা করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির জানান, গতকাল রোববার সকাল ৯ টায় এসব আসামি চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর পাড়স্থ আল হেকমত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও রাস্তায় টায়ারে আগুন দিয়ে ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার ও নাশকতার চেষ্টা চালায়। নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল ছুঁড়ে মারে। নাশকতা দমন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা ও নিজেদের জানমাল রক্ষায় বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে শর্টগানের প্রায় ৩০০ রাউন্ড, চাইনিজ রাইফেলের ১২ রাউন্ড, গ্যাসগানের ৫ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ চান্দগাঁও থানায় স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ও বিস্ফোরক আইনে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।  
মামলার আসামি মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫), মো. আজিম উদ্দিন (২৫), মফিজুল আলী (২৫), মঞ্জুর আলী (৫০), মো. হেলাল (২২), মো. হোসাইন (৩৩), মো. মানিক (২৯), মো. মহিন (২১), মো. রিয়াদ (২২), মো. আজম (২০), মোবারক হোসেন (২০) ও মো. মামুন (৩৫)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট আসামিদের মধ্যে আবু সুফিয়ান (৫৫), মোশারফ হোসেন প্রকাশ ছোট মোশারফ (৪৩), এরশাদ উল্লাহ (৬০), রিয়াদ (৩০), আফছার (২৮), আব্দুর রহমান আলফাজ (২৭), নওশাদ আল জাশেদুর রহমান (৩৫), জামাল (৪২), হারুন (৪৫), মো. আরিফ (৪০), এরশাদ, রুবেল, রাশেদ, মনছুর, আসমান, নাসির উদ্দিন, আকবর প্রকাশ বদি, ওসমান, তুষার, নুর হোসেন, মো. আরিফ, জয়নাল আবেদিন সাকিব, জুনায়েদ হোসেন ঝিনুক, মানিক, রুবেল, আমজাদ, আরিফ মহিউদ্দিন, ইরফান, নাজিম, হারুন, আনোয়ার হোসেন বাপ্পি ও সেলিম এখনো পলাতক আছে। এসব পলাতক আসামি ও অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।