বাসস
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৭

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মেডিকেল অফিসার রনজুর ছাদে সবজির চাষ

টাঙ্গাইল, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): রোকনুজ্জামান রনজু, পেশায় একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। তিনি জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়ন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে তার বাসার ছাদে শখের বশে করেছেন নানা সবজির চাষ।
গতবছর মধুপুর পৌর শহরের পুন্ডুরা আদালত পাড়ায় তার বাবার রেখে যাওয়া জমিতে গড়েছেন বাসা। নতুন বাসার ছাদে ছোট পরিসরে গড়েছেন লাউ, শিম, পটল, টমেটো, মরিচ, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, শসা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের সবজির বাগান। নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পাচ্ছেন বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির নিশ্চয়তা। তাই আগামীতে পুরো ছাদ জুড়ে সবজি চাষের স্বপ্ন দেখছে তিনি।
রোকনুজ্জান রনজু জানান, বিগত ২০২৩ সালে মধুপুর পৌরসভার কোয়াটার ঘেঁষা পুন্ডুরা আবাসিক এলাকায় নতুন বাসা করে উঠেন। ছাদের ফাঁকা দেখে মনে শখ জাগে ছাদকৃষির। তিনি ভাবেন, অনেকেই ছাদে ফুলের বাগান করেন। তিনি ফুলের বদলে সবজি চাষ করবেন। এ ভাবনা থেকে পুরানো প্লাস্টিকের বালতি, মাটির টব যোগাড় করেন। মাটির সঙ্গে গোবর মিশিয়ে বালতি-টবে ভরাট করেন। এক মাস পর বিভিন্ন জায়গা থেকে পছন্দের সবজির চারা-বীজ সংগ্রহ করে লাগাতে থাকেন। লাউ, শসা, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, মরিচ, বেগুন, পেঁয়াজ, লাউ, করলা, পেঁপে, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া রোপণ করেছেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরিজীবী হওয়ায় অবসর সময়ে শখ করে ছাদ কৃষির যতœ নেন। ছেলে-মেয়েরাও মনের আনন্দে পানি দেয়, আগাছা পরিষ্কার করে। এ বছর শখের ছাদকৃষি আগামীতে আরও বড় আকারের করার ইচ্ছা আছে।
তার স্ত্রী জানান, এ বছর বাগান থেকে শসা, মরিচ, পেঁপে, লাউ, লাউয়ের ডগা পাতাসহ অন্যান্য সবজি খাচ্ছেন। সকাল-বিকাল ছাদের বাগানের সবজি দেখে তার খুব ভালো লাগে। যে কোনো সময় সবজি তোলে খাওয়া যায়। এ বাগানে টুকিটাকি কাজ করতেও তার খুব ভালো লাগে।
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, ছাদ কৃষি অনেকেই শখের বশে করে থাকেন। এতে পরিবারের পুষ্টি যোগান ও সবজির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। আগ্রহীদের কৃষি বিভাগ পরামর্শ ও সহযোগিতা করে থাকে। ছাদ কৃষিতে আরও বেশি মানুষ এগিয়ে এলে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ সহজ হয়ে যাবে।