শিরোনাম
// মনোজ কুমার সাহা //
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ৫৬০ টন।
গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলায় এ বছর ৩ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হচ্ছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে।
এরমধ্যে মুকসুদপুর উপজেলায় ২ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৭২০ টন। কাশিয়ানী উপজেলার ৫৬০ হেক্টরে উৎপাদিত হবে ৬ হাজার ৭২০ টন পেঁয়াজ। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৪৫০ হেক্টরে ৫ হাজার ৪০০ টন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৫ হেক্টরে ৪২০ টন ও কোটালীপাড়া উপজেলা ২৫ হেক্টরে ৩০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৩ হাজার ৩৮০ হেক্টরে পেঁয়াজ আবাদ চলছে। ইতিমধ্যে ৫ উপজেলায় ২ হাজার ৪৮৯ হেক্টরে পেঁয়াজের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৯২৪ হেক্টরে, কাশিয়ানীতে ২৪৭ হেক্টরে,গোপালগঞ্জ সদরে ২৮৬ হেক্টরে, টুঙ্গিপাড়ায় ১৬ হেক্টরে ও কোটালীপাড়ায় ১৬ হেক্টরে পেঁয়াজের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৮৯১ হেক্টরে পেঁয়াজ আবাদ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আশা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হবে। তাই ৪০ হাজার ৫৬০ টনের চেয়েও বেশি পেঁয়াজ এ জেলায় উৎপাদিত হতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, পেঁয়াজ চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি জন্য গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৫২০ জন প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ ও প্রদান করা হয়েছে। জেলায় ৫২০ কেজি পেঁয়াজ বীজ, ৫ হাজার ২০০ কেজি ডিএপি ও ৫ হাজার ২০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ গত নভেম্বরেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক কৃষি প্রণোদনার ১ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি ও ১০ কেজি করে ডিএপি সার পেয়েছেন। এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৫২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। এ কারণে গোপালগঞ্জে পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন দু’টোয় বৃদ্ধি পাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গতবছর কৃষক পেঁয়াজের দাম ভাল পেয়েছেন। তাই এ বছর কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষক ২৮৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ সম্পন্ন করেছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১১০জন প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনার বীজ সার পেয়েছেন। তারা ১১০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এখনো সদর উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদ অব্যাহত রয়েছে। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে বলে ওই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।