শিরোনাম
দিনাজপুর, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় পরীক্ষামূলক আদর্শ বীজতলা তৈরীতে সফলতা অর্জন করেছে । পুরোনো পদ্ধতির বীজতলার পরিবর্তে এখন আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মিয়া এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই উপজেলায় আদর্শ পদ্ধতিতে ইরি-বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে প্রথমে শুকনা জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে আদর্শ বীজতলা তৈরি করে নেয়া হয়। জমি প্রস্তুত হলে ১ মিটার প্রস্থ, ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও প্রতি বেডের মাঝে ৫০সে.মি. নালা রেখে বীজতলা তৈরী করতে হবে। মানসম্মত বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় ছিঁটিয়ে দেয়া হয়। বীজ ছিঁটানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।
আদর্শ বীজ তলার সফলতার বিষয়ে কথা হয় ঘোড়াঘাট উপজেলার ২ নং পালশা ইউনিয়নের বলাহার ব্লকের কৃষক আবু তাহের, মশিউর রহমান, ফারুক হোসেন, মেহেদী হাসান বলেন, সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদন, বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে ও কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় আমরা পুরোনো পদ্ধতির পরিবর্তে আদর্শ বীজতলা তৈরী করেছি। বীজতলা তৈরীতে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ সহ তদারকি করছেন। ঘোড়াহাট উপজেলার শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজ তোলার কোন ক্ষতি হয়নি। বীজ তলা ধানের চারা খুবই ভালো রয়েছে। এখন বীজের চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে।বীজের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু করা হবে। ইরি- বোরো ধানের জমির চারা রোপণের প্রস্তুতির কাজ চলছ। আশা করছি আদর্শ ধানের বীজের চারায় ভালো ফলন পাওয়া যাবে ।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা ৪টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ১২৬ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমান জমির জন্য ৪৭৬ হেক্টর বীজতলার প্রয়োজন। এর মধ্যে আদর্শ বীজতলার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯০ হেক্টর। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলা রক্ষা করতে জমিতে পলিথিন ব্যবহারসহ রাতে পানি দিয়ে সকালে বের করে দিতে হবে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মিয়া জানান, চলতি বছর পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ঘোড়াঘাট উপজেলায় আদর্শ বেচতলার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। প্রথম বছরে এর সফলতা অর্জন করা হয়েছে। আগামীতে এ পদ্ধতিতে জেলার ১৩ টি উপজেলার আদর্শ পিস্তলা তৈরি করে চারা সৃজনে কৃষকেরা ইরি-রোরো ধান উৎপাদনে সফল হবে । সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাবে।
তিনি জানান চলতি বছর জেলায় ১৩টি উপজেলায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য জেলায় ৯ হাজার৭০০ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো ধানের চারা সৃজন করা হয়েছে ।