বাসস
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১

নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): নীতিমালা প্রণয়ন করা ছাড়া বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
পাশাপাশি রুলে আসামিদের মৃত্যুদ-ের সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা তৈরি করা হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বিষয়টি নিয়ে আনা রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী এটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদ-ের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আসামিদের মৃত্যুদ-ের সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-। কিন্তু এই মৃত্যুদ-ের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদ-কে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ সব দলিলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদ- নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদ- নিষিদ্ধ করেছে।