বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

জয়পুরহাটে সমাপ্ত হলো পিঠা উৎসব

জয়পুরহাট, ৩ ফেব্রুয়রি, ২০২৪ (বাসস): স্থানীয় শহিদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবে পিঠা, পুলি প্রদর্শনের পাশাপাশি বাউল ও পালা গানের আসরের মধ্যে দিয়ে শুক্রবার রাত ৯ টায় সমাপ্ত হয়েছে ।
মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমন্ডিত পিঠা পুলি, রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’ এ  প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে বুধবার থেকে শুরু হয়েছিল জাতীয় পিঠা উৎসব-২০২৪। পিঠা পুলির পাশাপাশি বাউল ও পালা গানের আসর সাধারণ দর্শকদের মুগ্ধ করে । গ্রামীণ জনপদে এক সময় ঘরে ঘরে যে পিঠা পুলি তৈরি হতো বাউল ও পালা গানের আসরে সেই আবহ সৃষ্টি হয়েছে দর্শক শ্রোতাদের মাঝে । জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক জয়নুল আলী দেওয়ানের পরিকল্পনায় গ্রামীণ জনপদের আদলে ডেকোরেশন করা হয়েছে শহিদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান। এখানে এলেই মনে হয় কোন গ্রামে প্রবেশ করছে দর্শকরা। বাউল ও পালা গানের পাশাপাশি নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়। এতে অংশ গ্রহণ করে অর্চনা খাঁ খাঁ, বৃষ্টি মিনজী, এলেনা মিনজী, বন্দনা খাঁ খাঁ ও মিটালী টপ্পো। বাউল ও পালা গানের আসরে জেলার বাউল হাবিব, মোহসিন আলী, হাবিল, জুলফিকার আলী ও নূর আলমের দলসহ ৬ টি দল অংশ গ্রহণ করে।
জেলা কালচারাল অফিসার মাহতাবউদ্দিন জানান, পিঠাকে আরো প্রসারিত ও জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের প্রতিটি জেলায় এবার জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। জয়পুরহাটের পিঠা উৎসবে ১০ টি স্টলে ৩০ জন পিঠা শিল্পী পর্যায় ক্রমে তাদের তৈরি পিঠা পুলি প্রদর্শন করেন । পিঠা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বাউল ও পালা গানের আসর দর্শকদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জেলা কালচারাল অফিসার মাহতাবউদ্দিন।
যারা পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে পরিবারের জন্য পিঠা তৈরী করেন এবং লুপ্ত প্রায় পিঠাকে বংশ পরম্পরায় ধরে রেখেছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।  বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে পিঠা শিল্পীদের গ্রামীণ পর্যায় থেকে তুলে আনার জন্য মূলত আয়োজন করা হয় এ পিঠা উৎসবের । সমাপনী অনুষ্ঠানে পিঠা শিল্পীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।