শিরোনাম
সংসদ ভবন, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চোরাই পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটকের সময় এর সাথে জড়িত ২ হাজার ৮১৭ জনের বিরুদ্ধে ৩৮ হাজার ৬৯২টি মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭২৯ টাকার চোরাই পণ্য এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক হয়েছে।’
সংসদে আজ সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ানোর ফলে প্রায়শই বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আটক বা জব্দ মাদকের মধ্যে রয়েছে, ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, হেরোইন, কোকেন, আফিম, ক্রিস্টাল মেথ আইস, এলএসডি, ইস্কাফ সিরাপ, বিভিন্ন নেশাজাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ইত্যাদি। আর চোরাই পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ, স্বর্ণ, রৌপ্য, বিভিন্ন প্রকার বৈদেশিক মুদ্রা, গবাদিপশু, কাঠ, কষ্টি পাথর, বিভিন্ন প্রকার তৈরি পোশাক ও কাপড়, চা-পাতা, বিভিন্ন প্রকার ফল, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, যানবাহন, ইমিটেশন, প্রসাধনী সামগ্রী ও আতশবাজী ইত্যাদি।