বাসস
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৭

বইমেলায় নতুন বই এসেছে ৮০টি

ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : অমর একুশে বইমেলার অষ্টম দিনে উপন্যাস ১০টি, প্রবন্ধ ৪টি, ইতিহাস ২টি, রাজনীতি বিষয়ক ১টি সহ আজ নতুন বই এসেছে ৮০টি।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে আহমদ শরীফ স্মরণ আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজীব সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোরশেদ শফিউল হাসান এবং আফজালুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।
প্রাবন্ধিক বলেন, শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সমাজ রূপান্তরকামী বুদ্ধিজীবীর বহুমাত্রিক পরিচয়ে ভূষিত আহমদ শরীফ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি চিন্তাবিদ। রেনেসাঁর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ। আহমদ শরীফের ইহজাগতিক জীবনদর্শনের মূলে কাজ  করেছে  রেনেসাঁস  চেতনা।  মানুষের  কল্যাণ  সাধনই  ছিল  তাঁর  ব্রত।  মত  প্রকাশের  স্বাধীনতা  ও  মুক্তবুদ্ধির  অবিচল  অনুশীলন করেছিলেন তিনি। এ জন্য স্বাধীন মত প্রকাশ করা থেকে নিজে কখনো বিরত থাকেননি। আহমদ শরীফের জীবন ও কর্ম পর্যালোচনা  করলে যুুক্তিবাদ, মুক্তচিন্তা, মানবমুখিনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা ও আধুনিকতার উজ্জ্বল সম্মিলন দৃশ্যমান হয়।
আলোচকবৃন্দ বলেন, বিংশ শতাব্দীর একজন আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আহমদ শরীফ। তিনি বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নিয়ে মৌলিকভাবে গবেষণা করেছেন। গভীর অনুসন্ধিৎসা ও জ্ঞানতৃষ্ণা ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। জ্ঞানের আড়ষ্টতা ছাড়িয়ে জ্ঞানের গতিশীলতার প্রতি  আমাদের দৃষ্টি  নিবদ্ধ করিয়েছেন তিনি।  বস্তুবাদী ও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন আহমদ শরীফ সমাজ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক আহমদ শরীফের চিন্তাজগৎ ছিল সুদূর প্রসারিত। জ্ঞান অন্বেষণের ধারাবাহিকতায়  তাঁর  চিন্তাজগতে  বিবর্তনও  ঘটেছে।  নতুন  বিষয়কে সহজভাবে  গ্রহণ  করার  ক্ষমতা  ছিল  তাঁর।  এই মহান  চিন্তকের ইহজাগতিক ও রেনেসাঁ-চিন্তা আজও প্রাসঙ্গিক।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ, গবেষক আলী আকবর টাবী, কবি সুমন সরদার এবং কথাসাহিত্যিক শাহরিয়া দিনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন  কবি  আশরাফ আহমদ, নাসরীন  জাহান,  কামরুল  হাসান  এবং  আলফ্রেড  খোকন।  আবৃত্তি পরিবেশন  করেন  আবৃত্তিশিল্পী  মাহিদুল  ইসলাম,  শাকিলা  মতিন  মৃদুলা  এবং  অতনু  করঞ্জাই।  সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানে  পুঁথি  পাঠ  করেন মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও ছিল এ. কে. আজাদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আনন্দন’ এবং শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুর সুধা সংগীতায়ন’-এর পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আকরামুল ইসলাম, আবুবকর সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, আমজাদ দেওয়ান, লাভলী দেব এবং আবদুল আউয়াল। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন তুলসী সাহা (তবলা), সুমন রেজা খান (কী-বোর্ড), মো. মনিরুজ্জামান (বাঁশি) এবং শাহরাজ চৌধুরী তপন (গীটার)।
আগামীকাল শুক্রবার অমর একুশে বইমেলার নবম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১ টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহর।
অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল  সাড়ে ৮ টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। সকাল ১০ টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : এস. ওয়াজেদ আলি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আবু হেনা মোস্তফা  এনাম।  আলোচনায়  অংশগ্রহণ  করবেন  ইকতিয়ার  চৌধুরী  এবং  কুদরত-ই-হুদা।  অনুষ্ঠানে  সভাপতিত্ব  করবেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।