বাসস
  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০১

চরাঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

সংসদ ভবন, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।
তিনি আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। সোলারে হোক বা গ্রীড কানেক্টিভিটিতে হোক সেই জায়গায় আমরা পৌঁছে গেছি। বিদ্যুতের সাথে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষকরে সোলার হোম সিস্টেমে এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। প্রায় ৫০ থেকে ৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি জ্বলছে।’
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তার এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এফোর্টিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে আমরা বিদ্যুৎকে এফোর্টিবল করতে পারি, কিভাবে নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কিভাবে বিদ্যুৎকে আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি-এই তিনটি জিনিষকে মাথায় রেখে আমরা আবার একটা রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি। যাতে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিতে দেশ ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতোমধ্যে ভোলায়, শাহাজাদপুর ও ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিস্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস কিভাবে আমরা বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে পটুয়াখালিসহ যশোরে সংযোগ দেবো। যশোরের সাথে কিভাবে আমরা রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সংযোগ করব তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরিয়তপুর, মাদারীপুর অংশে গ্যাস লাইন নিয়ে বরিশালের সাথে সংযোগ করব। অর্থাৎ মাদারিপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা রয়েছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এস. এম. শাহজাদা, শেখ তন্ময়, মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, নুরুন্নবী চৌধুরী, সেলিম মাহমুদ, ফেরদৌস আহমেদ, মো. মজিবুর রহমান (মজনু), শফিউল আলম চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আজিজ, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, আব্দুস সবুর, স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ, আব্দুল কাদের আজাদ, মো. আজিজুল ইসলাম ও হামিদুল হক খন্দকার।