শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, ‘রক্তদান করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই তা পূরণ হয়ে যায়। চিকিৎসক হিসেবে প্রয়োজনের সময় রক্ত সংগ্রহের গুরুত্বটা আমরা ভালো করেই জানি। আসলে রক্তদানের মতো শ্রেষ্ঠ দান আর কিছুতেই হয় না।' মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময়ে তিনি নিজেও ১৭ বার রক্ত দান করার কথা উল্লেখ করে উপস্থিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এই মহৎ কর্মে অংশ নেয়ায় সম্মাননা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করে কোয়ান্টাম। প্রধান অতিথি এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক, মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষ থেকে অনুভূতির কথা জানান ৫০ বার দানকারী রক্তদাতা নূর সাকলাইন নাবিদ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত নিয়মিত রক্তগ্রহীতা মাসুমা হোসেন তন্বী। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ প্রজন্মের স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার মানবিক আহ্বান জানান আলোচকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম ল্যাব মুমূর্ষের জীবন বাঁচাতে তাদেও কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করতে পেরেছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও নতুন রক্তদাতা তৈরির মধ্যদিয়ে বর্তমানে বছরে ১ লক্ষেরও বেশি ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করছে মানবিক এ সঙ্ঘ। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টামের রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। যাদের অর্ধ-লক্ষাধিকই নিয়মিত রক্তদাতা, অঙ্গীকার করেছেন আজীবন রক্তদানে।