বাসস
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম বার্ষিকী আগামীকাল

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : আগামীকাল সারাদেশে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম বার্ষিকী এবং 'বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৪' যথাযথভাবে পালিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোস্টগার্ডের সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। 
বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও  প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, কোস্টগার্ড সদস্যরা দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের নির্বিঘœ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রানমন্ত্রী উভয়েই দেশের নৌপথের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং চোরাচালান ও মানব পাচার প্রতিরোধে কোস্টগার্ড সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ, মাদকের বিস্তার রোধসহ সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় এ বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে কোস্ট গার্ডের বলিষ্ঠ ভূমিকার ফলে বিগত বছরে জলদস্যুতার ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে যা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে ইতিবাচক অবদান রাখছে। 
এছাড়া দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণ ও সমুদ্রে সরকার ঘোষিত মৎস্য অভয়ারণ্য বাস্তবায়নেও কোস্ট গার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সদস্যগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কার্যকর অবদান রাখবেন।
সরকার কোস্ট গার্ডের আধুনিকায়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এ বাহিনীর যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের জলসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সদস্যগণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দেশের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সুনীল অর্থনীতি সংক্রান্ত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে কোস্টগার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর প্রতিটি সদস্যকে দেশপ্রেম, সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য আহ্বান জানাই। 
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকার কোস্টগার্ড বাহিনীকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানে কাজ শুরু করে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের পর আমরা এ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালীকরণ’, প্রশিক্ষণ ঘাঁটি নির্মাণ, সমুদ্রগামী জলযান সংগ্রহ/নির্মাণ, অবকাঠামো নির্মাণ/বর্ধিতকরণসহ এর সাংগঠনিক কাঠামোতে জনবল বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করি। 
সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এ বাহিনীর রূপকল্প ২০৩০ ও ২০৪১ অনুযায়ী যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বাহিনী পুনর্গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমি আশা করি, এ বাহিনীর উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা চলমান থাকবে। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আমাদের সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’, ‘সুনীল অর্থনীতি’ ও ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখবে।