বাসস
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ বলেছেন, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। কোনোভাবেই পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেয়া হবে না। 
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা খাদ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করেছি, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আবার একত্রে বসব। প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করব। ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।  
তিনি জানান, শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরো কমে আসবে। 
এর আগে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ এর সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্ন এর নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস পৃথক বৈঠক করেছেন। 
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: মাহমুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আম ও কাঁঠালসহ শাকসবজি নেওয়ার অনুরোধ করেন কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এসব বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। বাংলাদেশের কৃষিকে আরো বেশি রপ্তানীমুখী করা এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আম, আনারস প্রভৃতির জুস রপ্তানি করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অর্গানাইজেশন (টিএফও) এর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটানোর বিষয়েও উদ্যোগ নিবেন বলে জানান তিনি।  
ইউএস কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বাংলাদেশে সয়াবিন রপ্তানি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।