শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি,২০২৪(বাসস) : বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ঢাকের তালে নৃত্য ছন্দে বসন্তকে বরণ করলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
আজ রাজধানীর রমনায় শতায়ু অঙ্গণের পাশে ২২৫ জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বসন্তবরণের আয়োজন।
বসন্তবরণের নৃত্য পরিবেশনার পর ঢাকের তালে শোভাযাত্রা শুরু হয় বেলা সাড়ে ৩টায়। রমনা থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রায় ৩ শতাধিক শিল্পী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। রমনা পার্ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য ভবন হয়ে শোভাযাত্রা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়।
এদিকে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, আজকের বসন্ত উৎসব আমরা যেন যুগ যুগান্তর ধরে উদযাপন করতে পারি। আমাদের পরবর্তী বংশধররা যাতে এ উৎসব উদযাপন ও উপভোগ করতে পারে সেই দায় আমরা পরবর্তী প্রজন্মের উপর রেখে যাচ্ছি। বাংলাদেশের অস্তিত্বে যারা বিশ্বাস করে তাদের নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমরা বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছি। আমাদের বৈশাখ, আমাদের ফাল্গুন, চৈত্র সংক্রান্তি বাঙালির আনন্দ আর উল্লাসের ভাষা, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারা। আমাদের এ প্রজন্মরাই সংস্কৃতির আলো ঘরে ঘরে পৌছে দিবে।
আমরা কোনভাবেই তা হারাতে দেবো না। আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা এ প্রজন্ম থেকে পরের তা ছড়িয়ে দিবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বসন্তবরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল বিকেলে একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চের পরিবেশন করেন দলীয় নৃত্য ‘ঢাক নৃত্য’। এরপর নৃত্যদল পরিবেশন করে দলীয় নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’। দলীয় সংগীত ‘আনন্দ লোকে’ পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীত দল। দ্বৈত আবৃত্তি ‘রুমঝুম কে বাজায়’পরিবেশন করে ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। একক সংগীত ‘যেথা রামধনু উঠে হেসে’ পরিবেশন করে মেহরিন মাহমুদ।
পরে, দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে নওশিন তাবাসসুম স্মরণ এবং মোমিন বিশ্বাস। ধারাবাহিক পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য ‘সুন্দরের অত্যন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশন করে । এরপর দ্বৈত নৃত্য ‘আজি দক্ষিণ পবনে’ পরিবেশন করে আবু নাইম এবং আনন্দিতা খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন সারমিন সাথী ইসলাম এবং বুলবুল ইসলাম। এরপর আবার দলীয় সংগীত ‘মন শুধু মন ছুয়েছে’ পরিবেশন করবে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। দ্বৈত আবৃত্তি করবেন তামান্না তিথি ও মাহিদূল ইসলাম। দলীয় নৃত্য ‘বসন্ত মুখর আজি’/ ‘নীল দিগন্তে’ পরিবেশন করে রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মুনমুন আহমেদ। দ্বৈত নৃত্য ‘বিশ্ববীণা রবে/ আজু সখি’ পরিবেশন করে সামিনা হোসেন এবং মাহতাব মেহেদী। এরপর একক সংগীত ‘চেনা চেনা লাগে’ পরিবেশন করে মো: ইউসুফ আহমেদ খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে কিরণ চন্দ্র রায় এবং চন্দনা মজুমদার। দ্বৈত নৃত্য ‘ফাগুন লেগেছে শাখে শাখে’পরিবেশন করে জুয়েইরিয়াহ মৌলি এবং মারিয়া ফারিহ উপমা। এরপর দলীয় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী নৃত্য পরিবেশন করে তপস্যা নৃত্যদল। পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক- ফিফা চাকমা। এরপর দ্বৈত আবৃত্তি করে শিমুল মোস্তফা এবং রুপা চক্রবর্তী। দ্বৈত নৃত্য ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ পরিবেশন করে অনিক বোস এবং কস্তুরী মুখার্জী। এরপর দলীয় নৃত্য ‘অবাক চোখে’ পরিবেশন করে কথক নৃত্য সম্প্রদায়। নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক সাজু আহমেদ। আবার পরিবেশিত হবে দ্বৈত নৃত্য ‘বাগিচায় বুলবুলি’ পরিবেশন করে আরোহী ইসলাম (আরিফুল ইসলাম অর্ণব) এবং হেনা হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের অংশগ্রহনে পরিবেশিত হয় ফ্যাশন ডান্স প্যারেড। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগীতা চৌধুরী এবং আব্দুল্লাহ বিপ্লব।