বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম বাড়ানো হবে :  জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। 
তিনি আরও বলেন, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন করা হবে। আরও ১০০টি কূপ খননের কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। গ্যাসের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। চাহিদার সাথে সরবরাহের সমন্বয়  করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে। 
আজ পেট্রোবাংলায় ‘গ্যাসের চাহিদা-সরবরাহের চিত্র; হাইড্রোকার্বন উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য সিসমিক সার্ভে এবং ড্রিলিং কার্যক্রমের বর্ধিতকরণের সুযোগ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা সাজানো হবে। ২০২৯-৩০ সনের দিকে গ্যাসের চাহিদা হতে পারে ৬ হাজার ৬৫৫ এমএমসিএফডি। অন্যদিকে নিজস্ব খনিতে মজুদ কমে যাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির চিন্তাও আমাদের করতে হচ্ছে। প্রতিটি কাজের টাইম লাইন থাকা বাঞ্ছনীয়। 
তিনি বলেন, কীভাবে সরবরাহ বাড়ানো যায় তার সুষ্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রয়োজন। স্থানীয় গ্যাস আমদানিকৃত এলএনজির সাথে মিশিয়ে মিশ্রিত গ্যাসের প্রতি কিউবিক মিটার ক্রয় মূল্য ২৪.৮০ টাকা এবং গড়ে বিক্রয় করা হয় প্রতি কিউবিক মিটার ২১.৪১ টাকা। এই ঘাটতি সুষম উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারে। তা ছাড়াও বিদ্যুৎ খাতে চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারলে ভর্তুকী প্রায় ৭০ ভাগ কমে যাবে।  
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার ইসলাম ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক মেহেরূর হাসান । 
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নূরুল আলম বক্তব্য রাখেন। 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক ড. এ এসএম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুসেন মো. সায়েম, অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন, বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. ইজাজ হোসেন। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার দপ্তর সমূহের বর্তমান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।