বাসস
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২

বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার প্রশংসায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): রোমভিত্তিক বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। 
তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। 
সিন্ডি ম্যাককেইন মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত নাগরিকদেরকে (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম সম্প্রতি ডব্লিউএফপি প্রধানের নিকট পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ঢাকায় এক তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
রাষ্ট্রদূত ডব্লিউএফপি’র স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে আন্ষ্ঠুানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তাঁর উচ্চ ধারণার জন্য ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। 
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র কার্যক্রমকে বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ‘স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ এবং ‘চালের গুণগত মান উন্নয়ন’ কার্যক্রমে সরকারের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে নির্বাহী পরিচালককে অবহিত করেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডব্লিউএফপি’র অভূতপূর্ব সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে নিরাপদ, নিশ্চিত এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য অনুরোধ করেন। 
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জন্য ২০২২-২৬ মেয়াদে কান্ট্রি স্ট্রাটিজিক প্ল্যান (সিএসপি)-এর অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন ও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগিদের কাছ থেকে উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ডব্লিউএফপি’কে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান। 
ডব্লিউএফপি’র সদর দপ্তরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেভিং এন্ড চেঞ্জিং লাইভস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’-এর ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা:২ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এবং ডব্লিউএফপি উভয়েরই একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা  হয়। 
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ জসীম উদ্দিন, ডব্লিউএফপি’র বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার এবং ডব্লিউএফপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।