বাসস
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯

ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে : ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি বিষয়ক বিবিধ আইন ও বিধিমালা সংস্কার হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইংরেজিতে থাকা ভূমি বিষয়ক পুরনো আইনকানুন ও বিধিবিধান বাংলায় ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি  হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা, স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এই কথা বলেন।
উল্লেখ্য, দ্য স্টেট এ্যাকুইজিশন  এন্ড  টেনান্সি  এ্যাক্ট (The State Acquisition and Tenancy Act) ১৯৫০ ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ নামে বাংলায় ভাষান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া ল্যান্ড  নিফর্মস  অর্ডিন্যান্স (Land Reforms Ordinance) ১৯৮৪ রহিত করে নতুনভাবে ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩ নামে বাংলায় প্রনয়ন করা হয়েছে। অন্যান্য যেসব আইন ও বিধিমালা এখনো ইংরেজিতে আছে তা বাংলা ভাষান্তরিত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন সংসদ সদস্য সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজ, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিজিএমইএ-র সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ দীদার বখত প্রমুখ।
ভূমিমন্ত্রী তার বক্তব্যের পর প্রথিতযশা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অন্যান্য স্মার্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।  
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ যখন উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করে গণপরিষদে প্রস্তাব পাস করা হলো তখন থেকেই মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াই শুরু। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। বাংলা ভাষার দাবী পরিণত হয় সংগঠিত আন্দোলনে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর সহ আরও অনেকে শহীদ হন।