শিরোনাম
সংসদ ভবন, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধ্রুবতারা। তাঁর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা অবশ্যই উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন ১৪৩ পৃষ্ঠার যে ভাষণ দিয়েছেন এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি দলিল। বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত এই বক্তব্যের মাধ্যমে তা ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হয়েছে, তার বক্তব্যে এটি ফুটে উঠেছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধ্রুবতারা। ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরে বাংলাদেশের মানুষ যখন দিশেহারা, সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানের যাঁতাকলে যখন পৃষ্ট, আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি সবকিছুই যখন বন্ধী, সেই সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের ধ্রুবতারা হয়ে দেশে পদার্পণ করেছিলেন দেশরতœ শেখ হাসিনা। সেই থেকেই পথ চলা, আজকে তার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হয়েছে। তাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভাষণের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা করেছি, আমরা সেই পথে অবশ্যই উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সারা পৃথিবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। সত্যি ভালো লাগে যখন সারা পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের মাইক্রো ইকনোমি নিয়ে গবেষণা করে, বাংলাদেশে কিভাবে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে তখন আমাদের ভাবতেই আনন্দ লাগে। অথচ এই বাংলাদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে, এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে এই বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য অপরাজনীতি করা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, আইন, সংসদ, সংবিধান, নির্বাহী বিভাগ, কোন কিছুই তারা মানছে না। বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিল, আজকে তারাই অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। এই নির্বাচন নিয়ে কত অপকর্ম, কত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অথচ আমরা দেখেছি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণের কি অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ, অনেকে বলেছিল সাংশন দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করে দেয়া হবে। তারা বলেছে -এই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না, এই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না, কিন্তু দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ এবং উন্নয়নকে যে তারা সমর্থন করেছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষ নৌকা মার্কা এবং শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতিকে দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করেছে বিএনপি, খালেদা জিয়া ও লন্ডনে বসে কুলাঙ্গার তারেক রহমান। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
আলোচনায় আরো অংশ নেন- সরকারি দলের সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, মুহিবুর রহমান মানিক, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, নূর মোহাম্মদ, শাহীন আক্তার, খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী ও স্বতন্ত্র সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার।