শিরোনাম
পিরোজপুর, ৩ মার্চ, ২০২৪, (বাসস): পিরোজপুরে ২শত ৫০ শয্যার হাসপাতাল এর নির্মাণ কাজ চলতি মাসে সম্পন্ন হচ্ছে। ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের এ হাসপাতালের নির্মান কাজ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও হাসপাতালটি স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ১২ তলা ভিত বিশিষ্ট এ হাসপাতাল ভবনটির প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ তলা নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের পিরোজপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ সৈকত জানান, এ ভবনের বেসমেন্ট এ ৩৫টি গাড়ী পার্কিং এর সুবিধা ও ষ্টোর থাকছে। ৪টি লিফট এর ২টিতে রোগী, তাদের স্বজন ও স্বাক্ষাৎ করতে আসা মানুষজন, ১টিতে চিকিৎসকবৃন্দ এবং অন্যটি জরুরী প্রয়োজনের জন্য রিজার্ভ থাকবে। এ হাসপাতাল ভবনের প্রতিটি ফ্লোর করা হয়েছে ১৬ হাজার বর্গফুটের। প্রথম তলায় জরুরী ও বর্হিবিভাগ এবং রেডিওলজি বিভাগ থাকবে। ২য় তলায় থাকবে প্রশাসনিক অফিস। ৩য় থেকে ৬ষ্ট তলায় আছে ল্যাবরেটরী, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, মহিলা ওয়ার্ড, আইসিইউ, সিসিইউ ও ৪টি অপারেশন থিয়েটার। ৭ম তলায় থাকছে পুরুষ ওয়ার্ড। ৮ম তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬টি স্পেশাল কেবিন রিজার্ভ থাকবে। এছাড়া ৬টি কেবিন থাকছে অন্যান্য রোগীদের জন্য। প্রতিটি শয্যার সাথে পাইপ লাইনে অক্সিজেন সরবরাহের সর্বাধুনিক ব্যবস্থাও থাকছে। অক্সিজেন উৎপাদনের অক্সি জেনারেটরও স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে পিরোজপুরের ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১শত শয্যায় উন্নীত করেছে এবং সেখান থেকে এ হাসপাতালটিকে ২শত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দেয়ায় নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে করোনাকালেও কাজ চলেছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, এ হাসপাতালটি নির্মাণে কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। শহরের কেন্দ্রস্থলে ২শত ৫০ শয্যার এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬টি রিজার্ভ কেবিন থাকবে শুনে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যা-যা করেছে তা সত্যিকার অর্থেই প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে একইসাথে স্বচ্ছল, সম্মানিত, সমাজে মর্যাদার সাথে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ শিশির রঞ্জন অধিকারী জানান গণপূর্ত বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে এ হাসপাতালটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলেই এখানে কার্যক্রম শুরু করা হবে। বর্তমান ভবনটিতে স্থান সংকুলান না হওয়ার সমস্যাসহ অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং হাসপাতালে সেবা নিতে আসা নারী-পুরুষ-শিশুদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রও বিস্তৃত হবে।