বাসস
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮
আপডেট  : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:২৭

দিনাজপুরে বিসিক উদ্যোক্তাদের ৭ দিন ব্যাপী মেলার সমাপ্ত দিনে উপচে পড়া ভিড়

দিনাজপুর, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): জেলা  শহরের গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানে জেলা প্রশাসন ও বিসিকের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয়  নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য নিয়ে ৭ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয় ।  ২ মার্চ  থেকে গতকাল ৮  মার্চ  রাতে  এ মেলা  সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার  শুক্রবার রাত ১১ টায় দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা চেয়ারম্যান,ইমদাদ সরকার  জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এর পক্ষে মেলাটি  সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
গত ২ মার্চ রাত ৮ টায়  দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী । এসময় জেলা প্রশাসন,বিসিকের জেলা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম,  নারী উদ্যোক্তা  ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। বিসিক কর্মকর্তা তানভীর হাসান জানান, ৭ দিনব্যাপী মেলায প্রতিদিন সকাল ৯'টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত জেলার নারী উদ্যোক্তাদের বিক্রি ও  উৎসাহ দিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে  গত ৭ দিন এ মেলার সফল কার্যক্রম  চলছে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ মেলায়  প্রায় দেড়শ বছর পুরনো সতিন মোচড় পিঠাসহ   বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার   নানা ধরনের  পিঠার নাম ও স্বাদে  ভিড় করেছিলেন  মেলায় আগত অনেক দর্শনার্থীরা। বিসিক আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলায় আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা বলছেন,  হারিয়ে যাওয়া এমন  ব্যতিক্রমী  বাহারী নামের পিঠা, খেয়ে তারা তৃপ্তি পেয়েছেন। অনেকে মেলা থেকে পিঠে কিনে বাড়ি নিয়ে গেছেন।  সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা চলছে সকাল ৯ টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিল  মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তাদের পথচলা সুগম করতে এমন উদ্যোগ ছিল  আয়োজকদের।
তিনি বলেন , উদ্যোক্তাদের প্রতিভা তুলে ধরে, তাদের উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার লক্ষ্যে চলছে এ ৭ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা।
স্টলগুলোতে মেলা চলাকালে  বাহারি নাম ও আঙ্গিকের মুখরোচক পিঠা, খাবার ও কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে হস্তশিল্পের পাটজাত পণ্য, নকশি, শতরঞ্জি, কারুপণ্য, শো-পিচ, প্রসাধনী বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এছাড়া আঞ্চলিক খাবার ও পোশাকের সমাহার নজর কেড়েছিল দর্শনার্থীদের। মেলায় ৫০টি স্টলের প্রতিটিতে স্থানীয় অনলাইন ও অফলাইন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।  তবে এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে  উদ্যোক্তার হাতের তৈরি সতিন মোচড় পিঠা। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া  এ পিঠার ব্যতিক্রমী নাম ও স্বাদে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছিল । প্রতিদিন  উপচেপড়া ভিড় মেলার বাড়তি আকর্ষণ বাড়িয়েছিল।
উদ্যোক্তা শম্পা দাস মৌ জানান, উদ্যোক্তাদের  এসব স্টলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে  নিজেদের উৎপাদিত পণ্য এ মেলার মাধ্যমে  তুলে ধরতে পেরেছি ।
দিনাজপুর  বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম ত বলেন, কারুকার্য খচিত পণ্য সামগ্রী ও বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে শুধু কেনাবেচা নয়, প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষণীয় সমাহার ছিল  মেলাজুড়ে। আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতির এ যুগে আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে  উদ্যোক্তারা অনলাইন ব্যবহারে তাদের পণ্য ক্রেতাদের দোরগোড়ায়  সহজে  পৌঁছে দিতে উৎসাহিত হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  ঘোষিত   সব ক্ষেত্রেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সফলতা অর্জিত হবে।