বাসস
  ০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৬
আপডেট  : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:১২

নাটোরে স্বপ্ন জয়ের সারথী ২২ জন

নাটোর, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় চরমপন্থা ত্যাগ করে স্বপ্ন জয়ের সারথী হয়েছে ২২ জন। অন্ধকার জগৎ থেকে বের হয়ে নিজেদের আর্থিক বুনিয়াদ সুসংহত করতে চায় ওরা। সমবায় সমিতি গঠন করে শুরু হয়েছে পথচলা। সমিতির একটি মৎস্য খামার এখন ছয়টিতে পরিণত হয়েছে।
এ কর্মযজ্ঞকে অনুপ্রাণিত করতে নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগরে স্বপ্নজয় ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের মৎস্য খামারে মৎস্য আহরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম এবং এনএসআই’র উপ পরিচালক মোঃ শাহিনুর সিদ্দিক। আজ থেকে চারদিন ধরে মৎস্য আহরণ কার্যক্রম চলবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, চরমপন্থা ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রশংসার দাবীদার। স্বপ্ন জয়ের এ কার্যক্রমে জীবন ও জীবিকায়নে সরকার সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
পুলিশ সুপার বলেন, চরমপন্থা কখনো শান্তির হয়না। তাই এ পন্থা ত্যাগ করে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তাদের স্বাগত জানাই। আশাকরি দেশের প্রচলিত আইন মেনে তাঁরা তাদের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।
এনএসআই এর উপ পরিচালক মোঃ শাহিনুর সিদ্দিক বলেন, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নাটোর জেলার ২৭জন চরমপন্থি আত্বসমর্পন করে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকার আর্থিক অনুদান প্রদানসহ কার্যকর সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
স্বপ্নজয় ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আতাউর রহমান জানান, আমরা আর অন্ধকার জগতে ফিরে যাবো না। পরিবারের সাথে সহাবস্থান আর মৎস্য খামার নিয়ে এখন আমরা অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করছি। এনএসআই এর উপ পরিচালক মোঃ শাহিনুর সিদ্দিক সমবায় সমিতি গঠনের পর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে আমাদের স্বাবলম্বী করতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
স্বপ্নজয় ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ জানান, সমিতি মৎস্য চাষ কার্যক্রমে সরকার ৩১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছে। বর্তমানে মূলধন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। ঐ অর্থ মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে ছয়টি  ইজারা নেওয়া পুকুরে মাছ চাষ কার্যক্রম চলছে। আমরা ২২ সদস্যকে লভ্যাংশও প্রদান করেছি। আজ শুরু হওয়া মৎস্য আহরণ কার্যক্রম চারদিন ধরে চলবে। সংগৃহীত মুনাফার একটা অংশ সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হবে, অন্য অংশ সমিতির মূলধনের সাথে জমা হবে।