শিরোনাম
শেরপুর, ২২ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : জেলার চাষিদের পান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। পান চাষের উৎপাদন খরচ কম ও বহুবর্ষজীবী হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একসময় শুধু সদর উপজেলার কিছু এলাকায় পান চাষ হলেও এখন বিস্তৃতি ছড়িয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। পানের বরজে ভাগ্যের চাকা ঘুরে হাসি ফুটেছে অনেক কৃষকের মুখে। কৃষি বিভাগ বলছে, আগ্রহী পান চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পান চাষে দিন বদলেছে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীরের। কিশোর বয়স থেকে অভাব ঘোচাতে শুরু করেন পান চাষ। স্বল্প পুঁজিতে পান চাষে দীর্ঘমেয়াদি আয়ের পথ খুঁজে পান তিনি। পাঁচ শতাংশ জমিতে পাঁচ বছর আগে এককালীন ২ লাখ টাকা খরচ করে প্রতিবছর আয় হয় ১ লাখ টাকা।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি জন্মের পর থেকেই পান চাষ করি। আমার বাপ-দাদাও পান চাষ করতেন। পান চাষই আমাদের প্রধান জীবিকা। এটা দিয়েই আমার ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচসহ সংসার চলে।’
একই এলাকার পান চাষি মকবুল বলেন, ‘আমাদের গ্রামের আবাদী জমির প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতেই পান চাষ হয়। এক একর জমি থেকে প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে পান বিক্রি করলে ১৫-১৬ হাজার টাকার বিক্রি করা যায়। এতে বছরে প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় হয়।’
উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। পাইকারি দরে পান ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন পাইকাররা। স্থানীয় পাঁচটি বাজারে কোটি টাকারও বেশি পান ক্রয়-বিক্রয় হয়।
পান ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা বলেন, এ এলাকায় তিনটি পানের বড় বাজার আছে। তিন বাজারেই একদম সতেজ পান পাওয়া যায়। এ বাজারের পানের চাহিদাও বেশি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, পান চাষ একটি অর্থকরী ও লাভজনক ফসল। এজন্য কৃষকদের মধ্যে পান চাষের উৎসাহ আগ্রহ বেড়েছে। কৃষিবিভাগ পানচাষকে আরও লাভজনক করতে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।