শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১০ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস): আজ রাত পেরিয়ে ভোর হলেই দেশে ঈদ। উৎসবে মাতবেন সারাদেশের মুসলমানরা। সেই আনন্দ আরও উপভোগ্য করতে সাজগোজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারীরা। মেহেদির রঙে রাঙাচ্ছেন নিজেদের। এতে শামিল হচ্ছেন শিশু, কিশোরী, তরুণীদের পাশাপাশি মধ্যবয়সীরাও। বৃদ্ধরা রাঙাচ্ছেন সাদা চুল, আর অন্যরা তাদের হাত ও নখ। একে অপরের হাত রাঙিয়ে ভাগাভাগি করছেন ঈদের আনন্দ।
কুমিল্লার বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটার পাশাপাশি জমে উঠেছে মেহেদি উৎসব। শুধু শপিংমলগুলোই নয় এর পাশাপাশি কুমিল্লার বিউটি পার্লারগুলোতেও মেয়েদের ভিড় লেগে গেছে হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য।
কুমিল্লার কান্দিরপাড় ও ঝাউতলা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সেখানে মেহেদি উৎসবের কাজ করছে তরুনীরা। পূবালী মেহেদি ডিজাইনের প্রতিষ্ঠাতা সাথী খন্দকার বাসসকে জানান, ২৫ রমজান থেকে আমরা এই মেহেদি উৎসবের কাজ করছি। অনেক আগ্রহ নিয়েই মেয়েরা আসছে আমাদের কাছে। সারাদিন খুব একটা চাপ না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটা সিরিয়াল দিয়ে মানুষ বসে থাকে। আজ চাঁদরাত হওয়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে আশা করছি। আজ আমরা রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত থাকবো।
অন্যদিকে ঝাউতলা আলভি বিউটি কেয়ারের কর্ণধার আয়েশা ছিদ্দিকা বাসসকে বলেন, দু’দিন আগে থেকে আমার এখানে মেহেদি হাতে দেওয়ার জন্য মেয়েরা আসছে। তবে আজ সকাল থেকে ভিড়ের পরিমাণটা বেশি। চেষ্টা করছি সবাইকে সন্তুষ্ট করার।
ডালাস পার্লারের আফরোজা পারভীন জানান, অনেক আগ্রহ নিয়েই মানুষ হাতে মেহেদি দিতে আসছে। ২৭ রোজার পর থেকেই মূলত অন্যান্য পরিচর্যার পাশাপাশি হাতে মেহেদি দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে, আজ হাতে মেহেদি দেওয়ার চাহিদা অনেকটা বেশি। মুশফিকা নিশাদ নামে এক তরুনী বাসসকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা ঈদ উৎসবকে বাড়িয়ে দিতে হাতে মেহেদি লাগিয়েছি। জান্নাতুল নামে এক তরুণী বলেন, ঈদ মানেই আনন্দ। আনন্দ মানেই উৎসব। আর এই উৎসবে মেয়েরা মেহেদি পরতে এবং এই রঙে হাত রাঙাতে ভালবাসেন। ঈদের সময় সবাই চায় সাজতে, নিজের সৌন্দর্য আরও ফুটিয়ে তুলতে। আর মেহেদি হাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। এতে কয়েকগুণ বেড়ে যায় ঈদের আনন্দ।
নাজমা খাতুন বলেন, যেকোন অনুষ্ঠানে মেহেদির রঙে রাঙা নিয়ম হয়ে গেছে। মেয়েদের কাছে এই রং অন্যরকম ভালোবাস। আর ঈদ এলেই সবাই রীতিমত ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মেহেদি ছাড়া মেয়েদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ যেন অপূর্ণাঙ্গ থেকে যায়।