শিরোনাম
দিনাজপুর, ১৬ এপ্রিল ২০১৪ (বাসস) : জেলায় আজ নাশকতার মামলায় হাকিমপুর বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ- এ তিন উপজেলার জামায়াত-শিবিরের ১৭ নেতাকর্মিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
নাশকতার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পলাতক আসামিরা আজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন। তারা জামিনের আবেদন করলে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ যাবিদ হোসেন জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী জানান, জেলার হাকিমপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় গতবছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে জামায়াত- শিবির ক্যাডারেরা জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করে। সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট তিনটি থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করে।
ওই মামলাগুলোর তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্ত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। কিন্তু আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর অভিযুক্ত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মিরা আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবীর মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা ও আদালতে আত্মসমর্পণ করে। দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ যাবিদ হোসেন তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামীদের আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় কড়া পুলিশ পাহারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।
জেল-হাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন- জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের রোকন মুশফিকুর রহমান (৪৫) , গোলাম মোস্তফা (৪২), মতিউর রহমান (৪০), নজিবর রহমান (২৮), মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮), আব্দুর রহিম (৫০), বোরহানুল ইসলাম (৩০) ও হাফিজুল ইসলাম (২৮)।
জেলার হাকিম উপজেলার মোফাজ্জল হোসেন (৩৫), আসলাম উদ্দিন (৪২), মোহাম্মদ আলী হোসেন (৩০), মিরাজ উদ্দিন (৪৬) ও আতোয়ার হোসেন (৪০)।
জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাহমুদুর রহমান (৩০), ইহসানুল হক (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি (৫০)।