শিরোনাম
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : প্রচন্ড তাপপ্রবাহে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসাপাতালে বাড়ছে রোগী। গড়ে প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন এক হাজার থেকে ১২শ’ রোগী।
আজ বুধবার সকালে হাসাপাতালের ১০টি বিভাগে ২৯১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগী সবচেয়ে বেশি। এখনো পর্যন্ত জেলায় হিটস্ট্রোকে কেউ মৃত্যুবরণ করেন নি। তবে তাপপ্রবাহকে সামনে রখে ১০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ওইসব বেডে হিটস্ট্রোকসহ গরম জনিত রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। রোগীরা জানিয়েছেন, হাসাপাতাল থেকে স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এখানে পানির সংকট রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আজ বুধবার সকালে ২৮ জন রোগী ভর্তি ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরো ১১ রোগী ভর্তি হয়েছে। মোট রোগী ভর্তি রয়েছে ৩৯ জন। শিশু ওয়ার্ডে সকালে ৩৭ রোগী ভর্তি ছিল। দুপুর পর্যন্ত আরো ১০টি শিশু ভর্তি হয়েছে। এখানে মোট রোগী ৪৭ জন। শিশু ওয়ার্ডে সব রোগী বেডে রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত বেডের অভাবে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে অনেক রোগীকে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, গত ২০ এপ্রিল গোপালগঞ্জের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০.৮০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে ওঠেছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে আকাশ মোঘাচ্ছন্ন থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষের শরীরে ঘাম হচ্ছে। এতে তারা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। দুপুর ১২ টার পর থেকে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে। তাই দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত একান্ত কোন কাজ না থাকলে সবাইকে ঘরের বাইরে বের না হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, ঈদের পর গড়ে এ হাসপাতালে প্রতিদিন ২শ’ রোগী ভর্তি থাকতো। আউটডোরে ৮শ’ থেকে ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতেন। তাপপ্রবাহ শুরুর পর এই সংখ্যা বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত সরকারি ওষুধের সরবরাহ অটুট রয়েছে। কোন সংকট নেই। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে । তাপপ্রবাহকে সামনে রখে হাসাপাতালে ১০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হাসাপাতালের পাম্পে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাম্পের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমধান হবে।