শিরোনাম
যশোর, ১ মে, ২০২৪ (বাসস): জেলার ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে বোরোর বম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ থেকে ধান কেটে দ্রুত বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে ঘরে তুলতে রোদে পুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষকেরা। প্রচ- দাবদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করছে। শেষ মুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টিতে আক্রান্ত না হলে ও বাজার দর ভালো মিললে মুনাফার সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।
উপজেলার দেখা গেছে, ধান কাটা, আটি বাঁধা ও বয়ে বাড়ি নেয়াসহ ঝাড়াই-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা। প্রচন্ড দাবদাহে ঘরে বসে নেই তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই সময় পার করছে। সকাল ও দুপুরের খাওয়া মাঠেই সেরে নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে, ঝিকরগাছায় এ বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল (উফশী) ব্রি-ধান-৫০, ৬১, ৮১, বিনা-২৫, স্বর্ণা ও মিনিকেট এবং হাইব্রিড জাতের মধ্যে সুবর্ণ-৮, সিনজেনটা-১২০৩ ধানের চাষ বেশি হয়েছে। তা ছাড়াও আরো কয়েক রকমের মোটা ও চিকন জাতের ধানের চাষ হয়েছে।
উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ধান চাষি আনোয়ার হোসেন, আহম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, সাদেক আলী, মন্টু মিয়া জানান, এ বছর হাইব্রিড ধানের চাষ বেশি হয়েছে। কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবিঘায় বোরো ধান চাষে অন্য বছরের চেয়ে খরচ কিছুটা বেশি হয়েছ। তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রাসায়নিক সার কম লেগেছে। পোকামাকড় ও রোগবালাইও কম ছিল। যদি ধান গোছানো পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকে ও উপযুক্ত দাম পাওয়া যায় তাহলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া বোরো চাষের উপযোগী ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ফলন পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।