শিরোনাম
জয়পুরহাট, ৫ মে, ২০২৪ (বাসস) : জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে প্রার্থীরা পাড়া মহল্লা ঘুরে ভোটারদের নিকট ভোট প্রার্থনা করেছেন।
আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে । ওই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ফজলুল করিম জানান, কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল-আনারস, মিনফুজুর রহমান মিলন-মোটর সাইকেল ও সাবিনা ইয়াসমিন -ঘোড়া। এ ছাড়া সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে জহুরুল ইসলাম -তালা, আব্দুল আলীম সরদার -মাইক, গোলাম মস্তোফা -উড়োজাহাজ, আতাউর রহমান তালুকদার-চশমা, ইউসুফ আলী -টিয়া পাখি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মরিয়ম নেছা -কলস, মেরিনা খাতুন-হাঁস, সাবানা আক্তার-ফটবল ।
ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তাইফুল ইসলাম তালুকদার -আনারস, দুলাল মিয়া সরদার -দোয়াতকলম, নাজ্জাসী ইসলাম-ঘোড়া, মোস্তাকিম মন্ডল -মোটরসাইকেল। সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সাজিব মন্ডল-মাইক, মতলুব হোসেন -টিউবওয়েল, এস এম তুহিন ইসলাম-তালা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন নুরবানু খাতুন-হাঁস, খোদেজা বেগম -বৈদ্যুতিক পাখা, আফিয়া খাতুন -কলস, নুরুন্নাহার গুন্না -সেলাই মেশিন, শামীমা আকতার পদ্মফুল ও রহিমা আক্তার -ফুটবল।
আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মোকছেদ আলী মন্ডল ( মাস্টার) মোটরসাইকেল, নুরুন্নবী আরিফ- আনারস ও হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতিদ্ব›দ্বিতা করছেন নাজমা আকতার লাকী -ঘোড়া । সাধারন ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাহিম-চশমা, টুটুল হোসেন-টিউবওয়েল ও তাইজুল ইসলাম- টিয়া পাখি এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা-হাঁস, ইসমত আরা - ফুটবল ও আছিয়া খানম সম্পা- প্রজাপতি।
জেলা নির্বাচন সূত্র জানায়, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ১০৯টি। এরমধ্যে রয়েছে আক্কেলপুরে ৪২ টি, কালাই ৩৭ ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ৩০টি। ওই তিন উপজেলায় মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৮ জন এবং মহিলা ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৩২০ জন। ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করার জন্য প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সার্বিক আইনশৃংখলা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম। তিনি জানান, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। নিরাপত্তার চাদরে এমন ভাবে ঢেকে দেওয়া হবে যে, বাহির থেকে কোন প্রকার হট্টগোল করার সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিও থাকবে বলেও জানান তিনি।