শিরোনাম
নাটোর, ৮ মে, ২০২৪ (বাসস) : আজ বুধবার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মোট ৩০২টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর ব্যালট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে বেলা সাড়ে এগারোটায় ৩৪৬ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক। নাটোর সদর উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বেলা ১১টায় ২০১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার ড. মোঃ আকরাম হোসেন। এ কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ১৭৬ জন মহিলা ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান এ কেন্দ্রের অপর প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক সুমন হায়দার। বৃষ্টি¯œাত সকালে থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছিল। রোদ উঠে আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। এরফলে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলার তিনটি উপজেলায় ৩০২টি ভোটকেন্দ্রে ৩০২ জন প্রিজাইডিং অফিসার ছাড়াও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারবৃন্দ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৪১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা সাত লাখ দুই হাজার ২৩ জন।
এসব ভোটার াদুইজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন করে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। সিংড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ার হোসেন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, ৩০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৭৯টি সাধারণ। সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে দুইজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য এবং দুইটি অস্ত্রসহ ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে একজন অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ বাহিনী। ফলাফল পরবর্তী সময়েও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ জানান, তিনটি উপজেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও কাজ করছে র্যাব। তিনটি উপজেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি টহল দিয়ে যাচ্ছে। তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌর এলাকায় ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোত্তম নিরাপত্তায় সুরক্ষিত থেকে ভোটারবৃন্দ তাদের ভোট প্রদান করছেন।