শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৮ মে ২০২৪ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় ১০টি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৩ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত জানিয়েছেন, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন ট্রলারের ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছে। বাকীদের উদ্ধারে কাজ করছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের টিম।
উদ্ধারকৃত মাঝিদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লাহ্র দান ট্রলারের মো. জিয়া মাঝি, মোহাম্মদ আলী, মো. মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব।
বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিলো। এসময় কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫ থেকে ২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বার আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। আমার ট্রলারের মাঝিদের উদ্ধার করা হয়েছে তবে ডুবে গেছে ২০ লাখ টাকা মূল্যের ট্রলারটি।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নৌ- পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার এএফএম নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সকালের ঝড়ে বেশকিছু লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারগুলো অধিকাংশই কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, পেকুয়া এলাকা থেকে আসা। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ১০টির মতো ট্রলার ডুবে গেছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতায় আছি।