বাসস
  ১৩ মে ২০২৪, ১১:১৮

ভোলায় জমে উঠেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা

ভোলা, ১৩ মে, ২০২৪ (বাসস): আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলায় প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে জেলার সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ।
প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর গ্রামের হাট-বাজার, অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া  হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।
তবে ভোটাররা বলছেন, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী উন্নয়ন করতে পারবে তাকেই চান সাধারণ ভোটাররা। তাই নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান।
এদিকে ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনের আচরণবিধি  মেনে চলেন সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থীদের সাথে। দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শোকজ  করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, জেলার তিন উপজেলার মোট ৩৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ বাসসকে বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর উপজেলা  পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। তাই আমি আশাবাদী জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে। নির্বাচিত হলে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট উপজেলা পরিষদ গঠনে কাজ করব।
দৌলতখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীর বাসস’কে বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কলস প্রতীকের রেহানা ফেরদৌস গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি   বাসস’কে বলেন, তিনি একজন শিক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মী। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তিনি প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে। আশাবাদী জনগণ তাকে ভোট দিবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন বাসস’কে জানান, নির্বাচন ঘিরে  আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার  রয়েছে। প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে। কোথাও যদি আচরণবিধিমালার লঙ্ঘন হয় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিন উপজেলায় আমাদের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
জেলার তিন উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে সদরে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন। বোরহান উদ্দিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।