বাসস
  ১৫ মে ২০২৪, ২২:৩০

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ২০৪১ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে : পলক

ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৪ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সেমিকন্ডাক্টর খাতে ২০৪১ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালে আমাদের ৫০ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সেমিকন্ডাক্টর খাতের রপ্তানি ১০ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করা আবশ্যক এবং সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।’
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পখাতের সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  
সেমিকন্ডাক্টর খাতের চাহিদা মেটাতে ৫০ হাজার দক্ষ জনবল তৈরি একান্ত আবশ্যক উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই খাতের সার্বিক উন্নয়নে একটি সেমিকন্ডাক্টর পলিসি প্রণয়ন করা হবে এবং উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তিখাতের সকল স্তরে ন্যানো চিপের বহুমুখী ব্যবহার বাড়বে, তাই আমাদেরকে এ ব্যাপারে এখনই মনোযোগী হতে হবে, বিশেষ করে শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ জনবল তৈরিতে শিক্ষা কারিকুলাম যুগোপযোগী করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪টি প্রতিষ্ঠান সেমিকান্ডাক্টিং খাতে বেশ ভালো করছে, তবে এ খাতের যথাযথ বিকাশে আমাদেরকে চিপ ম্যানুুফেকচারিং, এ্যাসেম্বিলিং ও প্যাকেজিং-এর উপর আরো বেশি হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির তৈরি পোষাক খাতের নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে আমদানি বিকল্প শিল্পখাতের বিকাশ ও পণ্যের বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট, রিফ্রিজারেটর, এসি ও গাড়ীর ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ অর্থবছরে আমাদের ব্যয় ছিল ১১৮.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি এখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের দক্ষ জনবল তৈরির কোন বিকল্প নেই এবং এজন্য আমাদের শিক্ষাক্রমের আমূল পরিবর্তন ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর উপর মনোযোগী হতে হবে।