বাসস
  ১৫ মে ২০২৪, ২২:৩৪
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ২২:৩৬

প্রতিযোগিতায় দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে : ধর্মমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ মে ২০২৪ (বাসস) : ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রতিযোগিতা একটি শিখন  প্রক্রিয়া।এর মাধ্যমে প্রতিযোগীদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন,ব্যাক্তিত্বের  বিকাশ এবং আত্ম-উন্নতির সুযোগ ঘটে থাকে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে শিশু-কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও ২০২৪ এর পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
 প্রতিযোগীদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় নিজেকে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপনের কৌশল রপ্ত করতে হবে। যে বিষয়ে  প্রতিযোগিতায় তুমি অংশ নিতে যাচ্ছো সেই বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আয়ত্তে আনতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।
প্রতিযোগিতা হারজিতের বিষয় নয়, বরং এটি শেখার এবং সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা একজন মানুষকে দক্ষ  করে তোলে। শিশুরা বড়দের কাছ থেকেই শিখবে। শিশুদের জন্য কী করছি-এটা আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে। আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, আজকের এই শিশু-কিশোরই আগামীদিনে জাতির
কর্ণধার। যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের চিন্তা-চেতনা ও মননে সততা, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, মানবিকতা, ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা, সময়ানুবর্তিতা, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সদগুণের উন্মেষ ঘটাতে হবে।
 ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক  ড. মহা: বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন, মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গর্ভনেসের  সদস্য ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়েখ আল্লামা খন্দকার গোলাম মাওলা নকশাবন্দী, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আবদুর রশিদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো: হাবেজ আহমদ।
অনুষ্ঠানে ক্বিরাত, হামদ, নাত, আযান,আবৃত্তি, বক্তৃতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৬০ জন প্রতিযোগীদের হাতে মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, এ  প্রতিযোগিতাটি উপজেলা থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে জেলা,বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়ে থাকে।