শিরোনাম
খাগড়াছড়ি, ২২ মে, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় যথাযথ ও ধর্মীয় ভাব গম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় ্উৎসব শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নর-নারীরা খাগড়াছড়িতে য়ংড বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর আর্য বন বিহার, জনবল বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা,প্রদীপ প্রজ্জলন,পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্ট পরিস্কার দান, বৌদ্ধ মূর্তি দান, ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, কল্পতরু দান, হাজার প্রদীপ দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান,পিন্ড দানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য পূর্ণ।বৌদ্ধ ধর্মমতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে শহরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশ, জাতি তথা সকল প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনা করা হয়। এ সময় দায়ক-দায়িকাদের পঞ্চশীল প্রার্থনাও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন য়ংড বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমাসারা স্থবির ।
উল্লেখ্য বৈশাখ মাসের এ পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্যদিয়েই জগতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয়।খাগড়াছড়ি জেলায় প্রায় সহ¯্রাধিক বৌদ্ধ বিহারে দিনভর বিভিন্ন আয়োজনে পালন করা হচ্ছে দিনটি।