শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৪ (বাসস): তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ ছিল। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের আলোকে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষক হিসেবে কি ধরনের নাগরিক তৈরি করবেন তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে আনা রিট আবেদন আমলে নিয়ে আজ হাইকোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলো।