শিরোনাম
নাটোর, ২৯ মে, ২০২৪ (বাসস) : কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে আজ জেলার দুইটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মোট ১৭২টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর ব্যালট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না ভরট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ মকসেদুজ্জামান। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা সুশৃংখলভাবে তাদের ভোট দিচ্ছেন বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান। ভোটার উপস্থিতি বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ভোটাররা তাঁরা ভোটের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুইটি উপজেলায় ১৭২টি ভোটকেন্দ্রে ১৭২ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ১৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৩৩২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আটজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বড়াইগ্রাম উপজেলার ১০০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৫টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৫টি সাধারণ। উপজেলার ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪৪ হাজার ৬৩৮ জন।
অন্যদিকে গুরুদাসপুরে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী রয়েছেন। উপজেলার ৭২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫০টি সাধারণ। উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৮১ হাজার ৭৯৪ জন।
আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমান্ডার মোঃ রুবেল উকিল জানান, ১৭২টি কেন্দ্রে দুই হাজার ৪২১ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিমে আরো ৪০ জন এবং দু’জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে ২০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রের ধরণ অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে আনসার সদস্য সহযোগে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং সাধারণ কেন্দ্রে তিনজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম নিয়োজিত আছে। স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ বাহিনী। ফলাফল পরবর্তী সময়েও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ আরিফ হোসেন জানান, দুইটি উপজেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও কাজ করছে র্যাব, পাঁচ প্লাটুন বিজিবি টহল দিয়ে যাচ্ছে। দুইটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌর এলাকায় ১৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।