শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৪ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকান্ডে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার উপস্থিতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি আসামি ইশরাকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এরআগে রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদি হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুদ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশেরর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও একজন নিহত হন। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকান্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী (মিয়া আরেফী), চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। এসময় এক নম্বর আসামি মিয়া আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।
সেখানে মিয়া আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। এই আসামি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
এজাহারে বাদি আরও অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন মিয়া আরেফীকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। ১ নম্বর আসামি অন্য আসামিদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মিয়া আরেফীর বক্তব্যে এবং ভিডিওতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়।