শিরোনাম
॥ এস এম মজিবুর রহমান ॥
শরীয়তপুর, ৪ জুন, ২০২৪ (বাসস) : আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলার চাহিদার চেয়েও অধিক সংখ্যক গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৯ হাজার ৩৮৬ জন ছোট বাড় খামারী। শেষ সময়ে পশু পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার জেলার চাহিদা মিটিয়েও জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আবু বকর সিদ্দিক বাসস’কে বলেন, এ বারের কোরবানীর ঈদকে উপলক্ষ করে জেলার খামারীরা পর্যাপ্ত গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ খামারীদের অর্থিকভাবে লাভবান করতে প্রাকৃতিক পদ্ধতি, ভ্যাকসিন, চিকিৎসা প্রদানসহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে আসছে।
জেলার ছোটবড় মিলে ৯ হাজার ৩৮৬ জন খামারী ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬টি গবাদিপশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরু ৩৩ হাজার ২৪০টি, ছাগল ৭৩ হাজার ৫৬৫টি ও ভেড়া ২৮১টি। আমাদের জরিপ অনযায়ী কোরবানীর জন্য গবাদি পশু লাগবে ১ লাখ ৩২টি। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়েও ৭ হাজার ১৪টি গবাদি পশু কোরবানীর জন্য বাইরের জেলায় পাঠানো সম্ভব হবে। আমাদের অনুমান ও পরিমাপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৮ লাখ থেকে সর্বনি¤œ ১ লাখ টাকায় প্রতিটি গবাদি পশু বিক্রি হবে। শরীয়তপুরের খামারীরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় চাহিদা অনুযায়ী জেলার বাইরে পশু নেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। জেলায় এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত ২৩টি স্থায়ী হাটসহ অস্থায়ী মিলে মোট ৪০টি পশু হাটের জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীতে আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এ ছাড়াও আমরা সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানীর- পশুর চামড়া সংরক্ষণে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাধ্যমে জেলাব্যাপী কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের মধ্যবাইশরশি গ্রামের মোখলেছ ফকির বলেন, আমার খামারে ৫টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে দুইটি গরু সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। এখনো পর্যন্ত ক্রেতারা বাড়িতে এসে যে দাম দিতে চাইছেন তাতে আমার অনেক লাভ থাকবে।