শিরোনাম
চাঁদপুর, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস): জেলা শহরের পুরাণ বাজারে দুই কিশোর গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আল-আমিন খান(৩০) নামে অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুরাণ বাজারের পলাশের মোড় মেরকাটিজ রোড ও নিতাইগঞ্জ রোডে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন ওই এলাকার স্থানীয় আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। নিহতের মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।
আহতরা হলেন-পুলিশের এএসআই মনিরুল, কন্সটেবল আল-আমিন ও স্বপন। এছাড়া স্থানীয় রাশেদ, কামাল, শাকিল, রহমান, জসিম, আল-আমিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। আহতদের অনেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহতের বাবা মজিদ খান ডেঙ্গু বলেন, আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে , কার গুলিতে মারা গেছে তা শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি করছি।
এই ঘটনার পর পুরাণ বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা সেখানে টহল দিচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন পূর্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরাণ বাজার মেরকাটিজ রোডের রনি নামে এক কিশোরের সঙ্গে নিতাইগঞ্জ রোডের জুয়েল নামের অপর কিশোরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় নিতাইগঞ্জ রোডের ও মেরকাটিজ রোড এলাকার কিশোরদের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে দুই পক্ষ একে অপরকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, আল-আমিন নামে ব্যাক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথার ডানপাশে গুলির আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি গুলির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় ঘটনার বিষয় বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। তা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই সংঘর্ষে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শিগগিরই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।