বাসস
  ১২ জুন ২০২৪, ১৬:৪৪

হবিগঞ্জের আকর্ষণ ২৫ মণ ওজনের ‘জায়েদ খান’

হবিগঞ্জ, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস): হবিগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানীর হাট। জেলার ৫৫টি পশুর হাটে ক্রেতারা ছুটছেন পছন্দের পশু ক্রয় করার জন্য। বিক্রেতারাও চেষ্টা করছেন তাদের গরু দিয়ে ক্রেতাদেরকে আকর্ষণ করতে। এর মাঝেই আলাদাভাবে দৃষ্টি কেড়েছে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামের সুজন মিয়ার খামারে উৎপাদিত ২৫মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের ‘জায়েদ খান’ নামের একটি ষাড়। এছাড়াও চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাও গ্রামের মহসিন মিয়ার ৩০ মণ ওজনের একটি কালো রংয়ের ষাড় সিলেট বিভাগের সবচেয়ে ওজনদার বলে দাবী করা হচ্ছে। তিনি তার ষাড়টি ১০ লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন।
‘জাহেদ খানের’ মালিক সুজন মিয়া জানান, ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস ও খড়সহ পুষ্টিকর দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে লাল রঙের ২৫ মণ ওজনের ষাড়টি। লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট ছাড়িয়েছে। এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা গরুটির দাম ৭ লাখ টাকা হাঁকছেন খামারি। ‘জায়েদ খান’ ছাড়াও তার খামারে রয়েছে বিক্রি যোগ্য ৬ টি শাহীওয়াল ও দেশি জাতের গরু।
৩০ মন ওজনের কালো ষাড়ের মালিক মহসিন মিয়া বলেন, গরুটি তিনি ৩ বছর যাবৎ লালন পালন করেছেন। খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনের ব্যয় বেড়েছে। তার গরুটি দেখতে প্রতিদিন অনেক লোক বাড়ীতে এসে ভীড় জমায়। সিলেট বিভাগের মধ্যে তার গরুটিই সবচেয়ে বড় বলে দাবী করেন মহসিন মিয়া।
হবিগঞ্জ জেলায় এবার চাহিদার তুলনায় কোরবানীর পশুর সংখ্যা অনেক বেশি। তবে দাম গত বছরের চেয়ে বেশি। কোরবানীকে কেন্দ্র করে জেলায় অনেকগুলো ক্ষুদ্র খামাড় গড়ে উঠেছে। এর বাইরে কৃষকদের উৎপাদিত গরুতেই জেলার চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তবে জেলার বাইরে থেক আসা গরুর জন্যই সেখানে এর সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে জেলার খামাড়ীরা আতংকে আছেন চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতের অবৈধ গরু নিয়ে। সীমান্ত  দিয়ে গরু আসলে লোকসানে পড়বেন বলে আশংকা খামারীদের।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের জানান, এ বছর জেলায় কোরবানীর চাহিদা ৯০ হাজার ৬৩৮টি পশু। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫১৯জন খামাড়ী এবং কৃষক কোরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ৪৮ হাজার ২০০ গরু, ৬৫১টি মহিষ, ৩২হাজার ৬০৮টি ছাগল এবং ২১হাজার ৫১৭টি ভেড়া ও অন্যান্য পশু। সুতরাং চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকবে ১২হাজার ৬৩৮টি পশু।